Bhola Zila 4.4

4.7 star(s) from 12 votes
8300
Bhola, 8300
Bangladesh

About Bhola Zila

Contact Details & Working Hours

Details

Bhola District (Bengali: ভোলা) is an administrative district (zila) in south-western Bangladesh, which includes Bhola Island, the largest island of Bangladesh. It is located in the Barisal Division and has an area of 3,737.21 km². It is bounded by Lakshmipur and Barisal Districts to the north, the Bay of Bengal to the south, by Lakshmipur and Noakhali districts, the (lower) Meghna river and Shahbazpur Channel to the east, and by Patuakhali District and the Tetulia river to the west.[1] About 400 mmcf natural gas has been found at Kachia in Bhola which is being used to run a power station.

ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ। এখানকার সংস্কৃতিতে রয়েছে মিশ্র প্রভাব। ভোলার মেঘনা তেতুলিয়ার তীর ঘেষে রয়েছে ছোট ছোট জেলে পল্লী। মাছ ধরা মৌসুমকে সামনে রেখে পল্লীর মহিলা ও শিশু কিশোররা পালাগান গেয়ে রং বেরংয়ের সুতা দিয়ে জাল বোনে। এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এসব জাল টানানো হয়। তখন বাড়িতে বাড়িতে চলে উৎসব।

এখানে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও অনেক জমিদার বাড়ি সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। যেমন- মানিকা মিয়া বাড়ি, কুতুবা মিয়া বাড়ি, দেউলা তালুকদার বাড়ি, পরান তালুকদার বাড়ি, রজনী করের বাড়ি ইত্যাদি। তবে দৌলতখানের জমিদার কালা রায়ের বাড়ি ছিল বিখ্যাত। তার প্রাসাদে হতো বাইজী ও ক্লাসিকাল ঢঙের ওস্তাদদের গান। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এ বাড়ি। এছাড়া জাগ্রত মাজার হচ্ছে হযরত উজির চান করনীর মাজার।
ভোলার ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি ও ঘোষের দধির সুনাম দীর্ঘকাল ধরে। অতিথি আপ্যায়ন ও জামাই আপ্যায়নে ভোলাবাসীর প্রথম পছন্দ এ দধি ও মিষ্টি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ মিষ্টি ও দধি উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হয়।
ভোলায় এককালে লবণ তৈরি হতো। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি খাল দিয়ে ভোলায় অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে লবণাক্ত পানি আটকিয়ে আগুনে জ্বাল দিয়ে লবণ তৈরি করা হতো। অধিকাংশ লবণ তখন তজুমদ্দিন, মির্জাকালুতে বিক্রি হতো। ব্রিটিশ সরকার লবণ কর বৃদ্ধি ও নানা বিধি-নিষেধ আরাপ করায় ১৯৩০ সালে ভোলায় লবণ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৩০ সালের ১লা বৈশাখ পুলিশের গুলিতে ২জন মারাও যায়। পরে লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও সে স্মৃতি আজো অম্লান হয়ে আছে।
ভোলা একটি গ্যাস সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ভোলা শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডে ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। এ গ্যাস দিয়ে ভোলার চাহিদা মিটিয়েও বাইরে পাঠানো যায়। এ গ্যাস দিয়ে ইতোমধ্যেই একটি সার কারখানা স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ৩৪.৫ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভোলা মহিষের বাথানের জন্য বিখ্যাত। ভোলার বিভিন্ন চরে অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান আছে। এসব বাথান থেকে প্রতিদিন শত শত কেজি দুধ উৎপাদিত হয় এবং এ দুধ থেকেই তৈরি হয় বিখ্যাত মহিষের দধি, পনির ও ঘি। এসব ভোলার বাইরে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য।
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা ছিল পর্তুগীজ দস্যুদের দখলে। পরে এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন বসতি স্থাপন করে। এখানে কান লম্বা, কেশর ভরা বিখ্যাত জাতের কুকুর ছিল। এখন বিলুপ্ত প্রায়। এখানে পর্তুগীজের তৈরি করা প্যাগোডার ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে।
এখানে গ্রামাঞ্চলে দাড়িয়াপাল্লা, ফুটবল, কাবাডি, হাডুডু খেলার প্রচলন ছিল। এখনও এসব খেলা হয়। ভোলার কলঘাট এলাকায় একসময় স্টিমার ঘাট ছিল। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন এটি শুধু স্মৃতি।
দর্শনীয় স্থান
নাম কিভাবে যাওয়া যায় অবস্থান
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল যাদুঘর ভোলা সদর থেকে রিক্সা দ্বারা আলীনগর
চর মনপুরা ভোলা থেকে প্যথমে তজুমুদ্দিন সি ট্রাক ঘাটে যেতে হবে । সেখান তেকে বিকাল ৩.০০ টায় সি ট্রাক দিয়ে মনপুরায় যাওয়া যায় ।এছাড়া ঢাকা তেকে আসা লঞ্চেও মনপুরা যাওয়া যায় । আথবা দিনের বিভিন্ন সময় ট্রলার যোগেও মনপুরা যাওয়া যায় । ভোলা জেলা
চর কুকরি মুকরি ভোলা থেকে প্রথমে চর ফ্যাশন এর চর ক্চ্ছপিয়াতে যেতে হবে । সেখান থেকে ট্রলার, নৌকা আথবা ছোট ছোট লঞ্চ দিয়ে চর কুকরি মুকরি যাওয়া যায় । ভোলা জেলা
দেউলি ভোলা থেকে বাসযোগে বোরহানুদ্দিন উপজেলায় যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিক্সাযোগে অথবা অটো রিক্সা দিয়ে যাওয়া যায় । ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ।
মনপুরা ফিশারিজ লিমিটেড ভোলা থেকে প্যথমে তজুমুদ্দিন সি ট্রাক ঘাটে যেতে হবে । সেখান তেকে বিকাল ৩.০০ টায় সি ট্রাক দিয়ে মনপুরায় যাওয়া যায় ।এছাড়া ঢাকা তেকে আসা লঞ্চেও মনপুরা যাওয়া যায় । আথবা দিনের বিভিন্ন সময় ট্রলার যোগেও মনপুরা যাওয়া যায় । মনপুরা ঘাটে নেমে রিক্সা অথবা অটো রিক্সা যোগে যাওয়া যায় । ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা ।
ঢাল চর ভোলা থেকে প্রথমে চর ফ্যাশন এর চর ক্চ্ছপিয়াতে যেতে হবে । সেখান থেকে ট্রলার, নৌকা আথবা ছোট ছোট লঞ্চ দিয়ে ঢাল চর যাওয়া যায় । ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলা ।

ভোলার ঐতিহ্য নিয়ে এ পর্যন্ত কয়েকটি বই বেরিয়েছে। বই সমূহের নাম ও লেখকের নাম নিম্নে দেয়া হলঃ

বইয়ের নাম , লেখক
১.ভোলা জেলার ইতিহাস অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী

২.পলি মাটির দেশ ভোলা মোস্তফা হারুন

৩.বাকেরগঞ্জের ইতিহাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী