২০১২ সালের ১লা ডিসেম্বর নোয়াখালীর সদর থানার মাস্টারপাড়ায় পুলিশিং কার্যক্রম এর মাধ্যমে একতা কমিউনিটি পুলিশিং ও সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন কার্যক্রম শুরু হয়।
যেহেতু এটি একটি সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন। তাই সকল সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংগঠনের পক্ষ থেকে পালন করা হয়। যেমন জাতীয় দিবস উদ্যাপন, বিনামূল্যে রক্তদান, রক্তের গ্রুফ পরীক্ষা,এলাকার ময়লা-আর্বজনা অপসারণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, নিরাপত্তামূলক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সামাজিক কাজগুলো মূলত তরুণদের নেতৃত্বে হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এই এলাকার তরুণ হাসানুল মোর্শেদ পাভেল ও ইবনে আল আরাফাত আরজু সহ অত্র এলাকার তরুণদের অংশগ্রহণে উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে একতা কমিউনিটি পুলিশিং ও সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন এর পাঠাগার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ শে আগস্ট ২০১৪ সালে পাঠাগারটি স্থাপিত হয়। যার পাঠক সংখ্যা বর্তমানে একশজনের ও বেশী ও সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০০ জন।এবং ইতিমধ্যে এটি সরকারি সকল শর্তপূরণ করার মাধ্যমে সরকারীভাবে নিবন্ধিত হয়েছে।এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র আছে এবং সেই অনুযায়ী এটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
পাঠাগার জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড।পড়ালেখা তথা বই পড়া ছাড়া আলোকিত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। “পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই”_ আলোকিত মানুষ ছাড়া দেশ জাতি ও সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমানে সারাদেশে উচ্চ শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আলোকিত মানুষ তথা ভাল মানুষের সংখ্যা সে হারে বাড়ছে না। নৈতিক অবক্ষয় সামাজিক অবক্ষয় দূর্নীতি ও অশ্লীলতায় সারাদেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের কারণে ছোট ছোট শিশুরাও অশ্লীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই সকল অভিভাবককে সচেতন হতে হবে এবং এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় পাঠাগার স্থাপন করা অত্যধিক জরুরী। এতে করে শিশুরা পাঠাগারের সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উৎসাহী হবে।
মূলত সকল সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণসাধন, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রতকরণ, ভাতৃত্ববোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে এলাকার তরুণ সমাজকে বই প্রেমী,জ্ঞান নির্ভর ও মননশীল করে তোলা এবং আত্মমর্যাদাবান গড়ে তোলার মাধ্যমে সমাজে আলোকিত মানুষ তৈরি করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।