বাঙালী নারী আর শাড়ী যেন একে অপরের পরিপূরক। আর শাড়ীর প্রসঙ্গ আসলেই সবার আগে মাথায় চলে আসে জামদানি শাড়ীর কথা। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এমন পোশাকের নাম বলতেই যেটার নাম আসে সেটা হচ্ছে জামদানি। আভিজাত্যের সাথে বাঙ্গালী ঐতিহ্যের মেলবন্ধন আমাদের এই শাড়ী। এর বুননশৈলী ও সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। । অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, “আর কোনো পোশাক বাংলাদেশকে সেভাবে তুলে ধরতে পারে না, যেটি জামদানি পারে। এর সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি জড়িত। এ ছাড়া ফ্যাশন বা আকর্ষণের কথা যদি বলি, তাহলেও আমার কাছে জামদানির ওপরে আর কিছু নেই। আমার মনে হয়, একজন বাঙালির জন্য এর চেয়ে অভিজাত পোশাক আর কিছু হতেই পারে না।” কেউ কেউ বলেন- জামদানি শাড়ি ব্যবহার করতে বিত্তের সঙ্গে চিত্ত থাকাও জরুরি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো সব সময়ই আর নারী মন্ত্রীরা বিদেশে গেলেই জামদানি পরেন। সর্বোপরি জামদানি বাংলাদেশের একটা ব্র্যান্ড।
জামদানী শাড়ীর মধ্যে তাঁতের তৈরী টাঙ্গাইলের জামদানীর কদর একটু বেশিই বলা চলে। সুপ্রাচীন কাল থেকে টাঙ্গাইলের দক্ষ কারিগররা তাদের বংশ পরম্পরায় তৈরী করে আসছে এই জামদানী শাড়ী, যার প্রমান পাওয়া যায় বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাং-এর ভ্রমণ কাহিনীতে। আর এক্ষেত্রে এই জামদানী শাড়ীকে বাঙ্গালীর তথা টাঙ্গাইলের শত বছরের ঐতিহ্যও বলা যায়।
তবে ভারত চোরাইপথে আসা নকল শাড়ী আমাদের জামদানী শিল্পের জন্য একটি বড় হুমকি। আর কম দামে পাওয়া যায় বলে নকল জামদানী শাড়ীর কদরই এখন বাজারে বেশি। এছাড়া ঢাকার বেইলী রোডের শাড়ীর দোকান কিংবা নামী-দামী শো-রুমে জামদানি অধিক লাভে উচ্চমুল্যে বিক্রি হয়। ফলে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্বেও বেশী দামের জন্যে কিনতে পারছেন না।
তাই আমরা এই শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে এবং সকল শাড়ী প্রেমীদের কাছে পাইকারী দামে এই পেজ খুলেছি। আমরা সরাসরি টাঙ্গাইল থেকে অরিজিনাল তাঁতে তৈরী শাড়ী আপনাদের কাছে পাঠীয়ে দিব। আমাদের নিজস্ব কোন শো-রুম নাই। তাই তুলনামুলক কম দামে এবং ভালো মানের টাঙ্গাইলের জামদানি শাড়ী শুধু আমরাই দিতে পারি।
আমাদের সাথে থাকুন আর ফ্যাশন ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখুন।