ঐতিহ্যের সাক্ষী, সময়ের সাক্ষী, ইতিহাসের সাক্ষী, প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বহমান সাগরখালি নদীর দু’তীরে অবস্থিত দু’টি গ্রাম আমলা ও সদরপুর। নদী দ্বারা ভাগ থাকলেও মনের ভাগ কখনই হ্য়নি দু’তীরের মানুষের। শতবছর পূর্বে নদীর উভয় তীরের গ্রামে বসবাস করত স্বনামধন্য জমিদারগণ।আমলার প্রয়াত জমিদার শ্রীযুক্ত বাবু জানকীনাথ সাহা এবং সদরপুরের প্যারী সুন্দুরী ‘নীলবিদ্রোহী’ ইতিহাসখ্যাত। একসময় আমলা ও সদরপুরের জমিদারগণসহ এলাকাবাসীর মনে জেগেছিল মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালার। এই প্রত্যয় নিয়ে উভয়ের যৌথ উদৌগে ‘আমলা সদরপুর হাই ইংলিশ স্কুল’ নামে একটি স্কুল ১৮৯৯ সালে গড়ে তোলেন শ্রীযুক্ত বাবু জানকী নাথ সাহা। প্রতিষ্ঠার তারিখ : ১/১/১৮৯৯ খ্রী:। ১৯০২ সালে এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এ বিদ্যালয়টি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১৯১০ সালে স্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব শ্রী মনোমহোন ব্যানার্জী-বি.এ।
স্মৃতিঘেরা এই বিদ্যালয়ে কত শিক্ষার্থী দুর দুরান্ত থেকে এসে শিক্ষার আলো নিয়ে দেশে বিদেশে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন তার ইতিহাস হয়ত আজ খুঁজে পাওয়া যাবে না।তবে শুধু এটাই বলা যাবে আজও বিদ্যালয়টি নিরন্তরভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীর মাঝে। আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইতিহাসের অংশ।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বিদ্যালয়কে গৌরবান্বিত করেছে। দেশ গঠনে, দেশ বিনির্মাণে বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবদান রেখে চলেছে সবসময় সবকালে।বিদ্যালয়টি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহ-শিক্ষাকার্যক্রমেও এগিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে এর অবাধ বিচরণ। সুইমিং, এ্যাথলেটিকস্ এ জাতীয় পর্যায় থেকে চ্যাম্পিয়ন পদক পেয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। শতবর্ষের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিষ্ঠান। এটাই এর গর্ব।