স্বপ্নের চেয়েও বড় করে স্বপ্ন দেখেন সন্তানের জন্য তার বাবা-মা। প্রায় আকাশের গায়ে গিয়ে ঠেকে তাদের ইচ্ছের রংধনু। নিজেদের জন্য কোন অবশেষ না রেখে সাধ্যের পুরোটা দিয়েই তারা বেঁধে দিতে চান সন্তানের দাঁড়াবার মাটি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেন সেরা বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির নিশ্চয়তা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সর্বোচ্চ সনদ হাতে পাওয়া। তাতে করে সন্তান হয়ত ভালো ছাত্র হয়ে সত্যিই ভবিষ্যতে নাম লেখায় শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, প্রকৌশলীর কাতারে। কিন্তু যে সন্তানকে নিয়ে তার শৈশবেই আপনি ভেবেছেন, জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো বিজ্ঞানী হবে, নজরুলের মতো সাহিত্যিক হবে, আবদুল আলীম বা সাবিনা ইয়াসমিন এর মতো করে গান গাইবে, লিওনার্দো বা জয়নুলের মতো চিত্রশিল্পী হবে; প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ফলাফলে তার ভাগ্য নির্ধারিত করে দেয়া কি সকল স্বপ্নের মৃত্যু নয়? আপনার তো জানা আছে বড় মাপের কোন মানুষই প্রতিষ্ঠানের গর্বে গর্বিত নন, বরং তাঁরা উল্টো প্রতিষ্ঠানকে গৌরব দান করেছেন।
তাই সবচেয়ে বেশি দরকার জীবনের শুরুতে শিশুমনে একটা ঘোর লাগিয়ে দেওয়া। রক্তের হিমোগ্লোবিনে উচ্চায়ত পিপাসার ভ্রূণ ছড়িয়ে দেওয়া। তখন ওর কাছে টম অ্যান্ড জেরি বা ডরিমনের চেয়েও দুর্দান্ত প্রলোভনের হয়ে উঠবে গণিত অলিম্পিয়াড, ভাষা প্রতিযোগের মোহ। বইয়ের এক একটা পাতা এক একটা টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়েও আকর্ষণীয় মনে হবে।
বাতিঘর শিশুর মনে সেই ঘোর লাগানো আর পিপাসা তৈরির কাজটি করতে চায়। বৈরি সময় আর পরিবেশের ভেতরে থেকেও শিশুদের মন-বুদ্ধি-স্বভাব যেন বিকশিত হতে পারে তাদের ভেতরে ন্যায়নীতির শুভবোধ, রুচিবোধ আর সৌন্দর্যবোধ কিছুটা হলেও যেন জন্মে, তারই প্রয়াস চালানো আমাদের লক্ষ্য। শিশুদের একেকটি চারু বিদ্যায় দক্ষ করে তোলাই নয় শুধু, কবিতায়, গানে, অভিনয়ে, ছবি আঁকায়, নাচে আর কথায় তারা যেন নিজেদের প্রকাশ করার আনন্দ পায় সেটাই বাতিঘরের চাওয়া। গতানুগতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো শিশুদের কেবল একটি বা দুটি বিষয় শেখানো নয়, বরং অনেকগুলো বিষয়ের সাথে প্রাথমিক পরিচয় করিয়ে দিতে চাই আমরা। যাতে করে সে নিজেই ঠিক করে নিতে পারে তার গতি-পথ।
তিন থেকে চোদ্দ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে আমরা সপ্তাহে দু’দিন এইসব চর্চা করছি।
আমাদের চর্চার বিষয়সমূহ:
সঙ্গীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলা, আবৃত্তি ও অভিনয়, যুক্তিকথা ও পাঠাভ্যাস, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
ক্লাসের সময়:
লালমাটিয়া শাখা:
সকাল শিফট- প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২.০০টা।
বিকেল শিফট- প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৬.০০টা।
শীতের সময় এবং রমজান মাসে সময় কিছুটা এগিয়ে নেওয়া হয়।
উত্তরা শাখা:
প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৬.০০টা।
শীতের সময় এবং রমজান মাসে সময় কিছুটা এগিয়ে নেওয়া হয়।
মিরপুর শাখা:
প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৬.০০টা।
শীতের সময় এবং রমজান মাসে সময় কিছুটা এগিয়ে নেওয়া হয়।
ঠিকানা:
লালমাটিয়া শাখা: ১/৪, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা (উদ্দীপন বিদ্যালয়ের ২য় তলা)।
উত্তরা শাখা: বাড়ি-৪৩, সড়ক-৪, সেক্টর-৩, উত্তরা, ঢাকা (সানিসাইড স্কুল)।
মিরপুর শাখা: বাড়ি-৭, রোড-৮, ব্লক-সি, মিরপুর ১০, ঢাকা। (গ্লোরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩য় তলা)
ফোন : ০১৬২৪৮০৪০৪৮, ০১৭৬৭৮৪৫৮৭৩।
সম্মানিত স্বজন, শিশুসহ আপনি সততই আমন্ত্রিত আমাদের বাতিঘরে।