বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি 5.76

4.8 star(s) from 988 votes
Nabinagar - Aricha Hwy, Savar
Dhaka, 1344
Bangladesh

About বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি is a well known place listed as Education in Dhaka ,

Contact Details & Working Hours

Details

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চাই। কোথা থেকে শুরু করবো?

প্রশ্নটা ক্রিটিকাল। বাজারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক হরেক পদের কিতাব রয়েছে। তবে বেশীরভাগ বইয়ে একটা প্রগাঢ় সমস্যা রয়েছে, রাইটাররা ইতিহাস জানানোর পাশাপাশি সেই ঘটনার নিজস্ব ব্যাখ্যাটাও সাথে ইনকর্পোরেট করে দেন। অর্থাৎ ইতিহাস আংশিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পরে। তাই আর্টিকেল/ব্লগপোস্ট/স্টাটাসে উনাদের ব্যাখ্যা পড়ার পাশাপাশি আপনাদের বেয়ার সোর্সগুলো সম্পর্কেও ক্লিয়ার আইডিয়া রাখতে হবে। নতুবা আপনি ক্রমশঃ উনাদের ফিলোসফির প্রতি উইক হয়ে পড়বেন। মানুষের মন বড়ই দুর্বল জিনিস।

পাশাপাশি আরেকটা কথা খেয়াল রাখতে হবে যে, ইতিহাস-আশ্রয়ী গল্প/উপন্যাস/কবিতা সুখপাঠ্য হলেও কখনই যেন তা ইতিহাসের ‘রেফারেন্স’ হিসেবে না-আসে। ইতিহাস নির্ভর ফিকশন বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাহিত্যমাধ্যম। তবে বাইরের দেশে সে সকল বইয়ের ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা থাকে যে, এটা নিছকই একটা ‘ফিকশন’, একে ইতিহাসের ‘রেফারেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করা যাবে না।

কিন্তু আমাদের দেশের আমজনতা একথা বুঝতে চান না। উনাদের কাছে শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’ কিংবা হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ কিংবা ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য রেফারেন্সমাধ্যম, যা সর্বাংশে একটি ভুল ধারণা।

তাই আমাদের প্রয়োজন একটি 'স্টেবল এন্ড অফিশিয়াল' রেফারেন্স মাধ্যম, যেখানে রাইটারের নিজস্ব ফিলোসফি ইনকর্পোরেট করা হয় নাই।

এক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয় হতে প্রকাশিত এবং হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ সংকলনটির নামই সর্বাগ্রে চলে আসবে। এর একটা স্পেশাল বৈশিষ্ট আছে। '৭২ সালে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা একাডেমির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টেশন শুরু করেন। তবে সেই কাজ বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে নি।

পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের দলিল লিপিবদ্ধ করার জন্য ’৭৭ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান পুরোদমে এই প্রজেক্ট হাতে নেন। '৮২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাতে দলিলপত্রের ফার্স্ট প্রিন্ট আসে। ’০৩ সালে চারদলীয় আমলে হয় পুনঃমুদ্রন। আবার ’০৯ সালে আওয়ামী গভমেন্টের আমলে রিপ্রিন্ট। অর্থাৎ এই বইটির প্রকাশনায় সকল দর্শনের গভমেন্টই কমবেশী কাজ করেছে তাই এখানে রক্ষিত ডকুমেন্টসকেই নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রাইমারি সোর্স হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে ’৭৭ সালে কাজ শুরু করেছিলেন দৈনিক বাংলার প্রাক্তন সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান। উনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম সংকলন রিলিজ করার জন্য বিখ্যাত। উনার সেই সংকলনে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ এবং একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসি নি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ ছিল। উনি লেফটিস্ট ছিলেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টস প্রামাণ্যকরণের কাজে নিয়োজিত ছিল ৯ সদস্যের টিম, হেডেড বাই তদকালীন ঢাবির প্রো-ভিসি এবং ইতিহাসের অধ্যাপক মফিজুল্লাহ কবির। আরো ছিলেন বর্তমান বাংলা একাডেমির হেড, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ওখানে ডঃ আহমদ শরীফও ছিলেন, তবে উনাকে ’৭৯ সালে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরির ডিরেক্টরকে কো-অপ্ট করা হয়। তাঁকে ঠিক কোন কারণে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, তা আজও এক রহস্য। তবে সময়ের সাথে সাথে আরো অনেক রহস্যের মতোই তা সলভড হয়ে যাবে।

প্রিন্টিং শুরু ’৮২ সালে। ৪ খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার পর হাসান হাফিজুর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুবরণে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে দুইজন ডেপুটি সেক্রেটারিকে কিছুদিনের জন্য পিডির চার্জ দেয়া হয়েছিল, তারপর ’৮৩ সালে ঢাবির ইতিহাসের অধ্যাপক কে, এম মহসীনকে পিডির চার্জ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, কিছু খন্ডের মুদ্রণকাল ১৯৮২। আর কিছু খন্ডের মুদ্রণকাল ১৯৮৪। শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ বাধাই-এর কাজ অসম্পূর্ণ ছিলো। তাই বিক্রয় শুরু করার তারিখ হিসেবে ১৯৮৫-কেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের সময়কাল হিসেবে গ্রহন করা উচিৎ।

সাড়ে তিন লাখ ডকুমেন্টস থেকে ভ্যারিফিকেশন শেষে ১৫ খণ্ডের এই সংকলন প্রস্তুত করা হয়েছে, পৃষ্ঠা সংখ্যা এরাউন্ড ১২,০০০। দামও ১৫,০০০ টাকার কাছাকাছিই হবে, যদিও বইয়ে দামের কোন উল্লেখ নাই। ওজন এক মণ। পড়তে গেলে খেই হারিয়ে ফেলবেন। তাই না-কিনেই অনলাইনে প্রাপ্ত ফ্রি ই-বুকটি ডাউনলোড করে নিবেন। এখানে ধীরে ধীরে আমরা ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে থাকবো।

*প্রতিদিন সকাল ১১ টা এবং সন্ধ্যা ৭ টার সময় আমাদের পেজ থেকে দলিল প্রকাশ করা হবে। আপনারা কোন দিন দলিল মিস করলে পেজে এসে অবশ্যই পড়ে যাবেন। আমরা আগামী ১ বছরের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা সমৃদ্ধ একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই, ধন্যবাদ।

OTHER PLACES NEAR বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি

Show more »