পরীক্ষায় পাশ করার এরূপ হাস্যেদ্দীপক উন্মত্ততা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। পাশ করে বিদ্যার নিকট চিরবিদায় গ্রহণ করার শিক্ষিতের এরূপ জঘন্য প্রকৃতিও আর কোন দেশে নেই। যে নিয়মটা চলে আসছে তাই প্রথা। মানুষের জীবন এ প্রথার চতুর্সীমার মধ্যে আবদ্ধ। একে এড়িয়ে চলা আমাদের পক্ষে সাধ্যাতীত। প্রথার ঊর্ণনাভের মধ্যে যারা জড়িয়ে আছে তাদের পক্ষে যেখানে দাড়িয়ে আছে সেখান হতে সম্মুখে অগ্রসর হওয়া বা নতুন কিছু সৃষ্টি করা একেবারে অসম্ভব। তাই আমরা জ্ঞান মন্দিরের দ্বারকেই ঘর বলে মনে করি। আমরা জ্ঞান মন্দিরের দ্বারেই অবস্থান করি। আর আমরাই সহপাঠ নামে জড়ো হয়েছি জ্ঞান মন্দিরের দ্বারে দাড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে। তাই সহপাঠের স্লোগান হলো-
“বুঝে পড় মনের আকাশে ইচ্ছে মত উড়ো”।
আমরা বিশ্বাস করি কোন কিছু বুঝে পড়ার ক্ষমতা আমাদের দেয় নির্মল আনন্দ। যে কোন কিছু বুঝে পড়ার প্রবণতা যখন একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে তৈরি হবে তখন থেকে তার মন থেকে পাঠ্যবই নামক ‘বিষ’ দূর হবে। ছোটবেলা থেকে আমরা যখন অ, আ, ক, খ,……….A, B, C…….. পড়তে শিখি, তখন থেকে আমাদের পিতামাতারা আমাদের মুখস্ত করার প্রবণতা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়। যে কারণে পরবর্তীতে মুখস্ত করা ছাড়া কোন কিছু পড়া হয় না।
সময় এসেছে প্রথা দূর করার, সময় এসেছে মুখস্তকে চিরবিদায় জানানোর।