নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল। এটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭০ সালে জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টি শুধু লেখাপড়ার জন্যই নয়, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও খেলাধুলার দিক দিয়ে এর সুনাম ছড়িয়ে আছে সারা বাংলাদেশে। বিদ্যালয়ে ২টি শিফট্ চালু রয়েছে। দু’শিফটে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৬৬২ জন। শিক্ষক/শিক্ষিকা রয়েছেন ৫১ জন। একজন অফিস সহকারি ও ৫ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ২০টি শ্রেণী কক্ষ, ১টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, ১টি সহঃ প্রধান শিক্ষকের কক্ষ (প্রভাতি ও দিবা), ১টি বিজ্ঞানাগার, ১টি লাইব্রেরী, একটি নামাজ ঘর, ১টি ক্রীড়া সরঞ্জামাদি সংরক্ষিত কক্ষ, ২টি কম্পিউটার কক্ষ, একটি অফিস কক্ষ ও ১টি ষ্টোররুম রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি কম্পিউটার, বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরী ব্যবহার করে থাকে।
শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা ও অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের সুযোগ্য সভাপতি মহোদয়, প্রধান শিক্ষক, সহঃ প্রধান শিক্ষকদ্বয়, সহকারি শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দের তত্ত্বাবধানে এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি সাফল্যের দোরগোড়ায় অগ্রসর হতে পেরেছে। প্রতি বছরের এস.এস.সি, জে.এস.সি, এস.এস.সি বৃত্তি, জুনিয়র বৃত্তি ও প্রাইমারী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও বৃত্তির ফলাফল খুবই সন্তোষজনক ও গৌরবদীপ্ত। আমরা এ বিদ্যালয়ের উন্নতি উত্তরোত্তর কামনা করি।
প্রতিষ্ঠাকাল ঃ ১৯৩৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ইতিহাস ঃ নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি নেত্রকোণা জেলার অতিপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়। এটি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত বিদ্যালয়টির সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠাতা ছিল না। তবে কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি যতদূর জানা যায় জনাব ফুল কিশোর সাহা, জনাব নিখিলনাথ আরও নাম না জানা কয়েকজন উদ্যোগী হয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এর পাকা বিল্ডিং ছিল না। টিনসেডের ঘর ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। সূচনালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টি সুনামের ভাল ফলাফল ও সহঃ পাঠ্যক্রমিক কাযাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে এসেছে এবং অধ্যাবদি এর গৌরব উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এর সাফল্য ও উন্নতি বিদ্যালয়ের সম্মানিত পরিচালনা কমিটি, সম্মানিত প্রধান শিক্ষক, সহঃ প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষকবৃন্দ, অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ ও সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের ঐকান্তিক কামনা।