একটা পুল থেকে কি করে একটা এলাকার নাম লোহার পুল হয়ে যেতে পারে এটা একটা বিরাট বিষ্ময়। এই পুলটি নিশ্চয়ই কোন বিরাট অবদান এনেছিল তখনকার মানুষের জীবনে।
বিখ্যাত সেই পুলের ছবি আজও এলাকার মানুষ তাদের ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখে। অনেকেই ছবি দেখে আপ্লুত হয়। ফিরে যায় শৈশবে। গেন্ডারিয়ার ইতিহাসখ্যাত লোহার পুলটি তো বটেই, কোনো কংক্রিটের পুলও এখন আর নেই সেখানে। থাকবে কী করে যার ওপর ছিল পুলটি, সেই ধোলাই খালই (অনেকে বলেন দোলাই খাল) তো নিশ্চিহ্ন!
লোহারপুল তৈরি কাজ শুরু হয়েছিল ১৮২৮ সালে। দুই বছর লেগেছিল শেষ হতে।পুল তো তৈরি হলো, কিন্তু শক্তপোক্ত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। এক অভিনব ব্যবস্থা করা হলো সে জন্য। ঢাকায় তখন হাতির অভাব নেই। একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতিকে তুলে দেওয়া হলো পুলের ওপর। লোহারপুল হিসেবে পরিচিত পুলটি ছিল ধোলাই খালের ওপর তৈরি করা দ্বিতীয় সেতু। এই লোহারপুলটি টিকেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু পর্যন্ত।
লোহারপুল তো নেই।লোহারপুলের কথা পুরোনো বাসিন্দাদের হয়তো মনে থাকবে, আরও কিছু দিন, তারপর হয়তো বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবে লোহারপুল!