বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদার পদাঙ্ক অনুসরণ এবং উপমহাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দের চেতনা ও আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে- ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি, নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগঠনের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত- একটি গবেষণামূলক উচচতর ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- 'জামিআ শায়েখ আব্দুল মোমিন'।
ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের অগ্রসেনানী, শায়খুল ইসলাম মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ.-এর বিশিষ্ট খলীফা, 'জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ'-এর সভাপতি, আল্লামা শায়েখ আব্দুল মোমিন দা.বা.-এর নামানুসারেই জামিআর নামকরণ।
তারই খলীফা, 'খানকায়ে হুসাইনিয়া মাদানিয়া মোমেনশাহী'র পরিচালক ও মুতাওয়াল্লী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, শায়খুল হাদীস, মাওলানা মুফতী মাহবূবুল্লাহ দা.বা.-এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় মাদানীনগর, মধ্যবাড়েরাস্থ 'খানকায়ে হুসাইনিয়া মাদানিয়া মোমেনশাহী' সংলগ্নে ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই জামিআ।
এখানে শিক্ষা অর্জনকারী প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে 'জামিআ শায়েখ আব্দুল মোমিন'র তালীম এবং 'খানকায়ে হুসাইনিয়া মাদানিয়া'র তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির সমন্বিত পরিবেশে একজন সুযোগ্য ওয়ারিসে নবী, নৈতিক অবক্ষয়ের এই যুগে নববী আদর্শে বলীয়ান ও আকাবিরে দেওবন্দের চেতনায় উজ্জীবিত- খাটি দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠে এবং দেশ ও আদর্শ জাতি বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে- এটাই জামিআর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এই মহান উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই জামিআ বর্তমানে (প্রস্তুতিমূলকভাবে) উচচতর ইসলামী আইনশাস্ত্র ও ফিক্হ গবেষণা (ইফতা) বিভাগ এবং উচচতর কুরআন গবেষণা (আফসীর) বিভাগ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা চাহেন তো আগামী ১৪৩৬-৩৭ হিজরী, ২০১৫/১৬ ইং শিক্ষাবর্ষে ইফতা বিভাগ, তাফসীর বিভাগ ও আদব বিভাগের সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে। এবং ক্রমন্বয়ে আরো শিক্ষাবিভাগ বর্ধন ও সংযোজনের মাধ্যমে এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তাআলার তাওফীক এবং সর্বস্তরের মুসলমানদের দু'আ ও সার্বিক সহযোগিতাকে সম্বল করে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পথচলা। আল্লাহ তাআলা জামিআকে তার দ্বীনের খেদমতের জন্য কবুল করে নিন। আমীন......