Jaintapur 5.52

4.6 star(s) from 146 votes
Sylhet, 3156
Bangladesh

About Jaintapur

Jaintapur Jaintapur is a well known place listed as Region in Sylhet , Media/news/publishing in Sylhet ,

Contact Details & Working Hours

Details

# আয়তনঃ ২৫৮.৬৯ বর্গ কিলোমিটার , ৯৯.৮৮ বর্গমাইল,৬৫৭৫৮ একর ।
# জনসংখ্যা(২০০৮ এর হিসাবমতে )ঃ ১,৪২,২৮৮ জন (প্রায়), পুরুষ-৭৫,১৪৫ জন (প্রায়), মহিলা - ৬৭,১৪৩ জন (প্রায় )
# ঘনত্বঃ ৪৭০ জন প্রতি বর্গ কিঃমিঃ, ১২১৬ জন প্রতি বর্গ মাইলে ।
# নির্বাচনী এলাকাঃ ২৩২, সিলেট ৪ ।

# থানা/ ইউনিয়নঃ ০৬টি ( ১নং নিজপাট ,২নং জৈন্তাপুর, ৩নং চারিকাটা,৪নং দরবস্ত ,৫নং ফতেপুর ও ৬ নং চিকনাগুল ইউপি )
# মৌজাঃ ১৬২ টি ।
# সরকারী হাসপাতালঃ ০১ টি ( উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স )
# স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিকঃ ১৬ টি
# পোষ্ট অফিসঃ ৪ টি ।
# নদ - নদী : ২ টি( সারি ,বড় গাং )
# হাট বাজারঃ ৩টি ( জৈন্তাপুর . দরবস্ত, হরিপুর )
# ব্যাংকঃ ৬ টি ( সোনালী ব্যাংক লিঃ ,কৃষি ব্যাংক , পূবালী ব্যাংক লিঃ, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ , গ্রামীণ ব্যাংক )
__________________________________________________________

উপজেলার পটভূমি

জৈন্তার শেষ হিন্দু নৃপতি জয়ন্ত রায় এর নামানুসারে জয়ন্তা বা জৈন্তা নামের উৎপত্তি । ১৪/০৯/১৯৮৩ সালে উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় । উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় এশিয়ান হাইওয়ে সিলেট তামাবিল সড়কের ৩৮ কিঃমিঃ দীর্ঘ সুপ্রশস্ত পাকা রাস্তা রয়েছে । তাছাড়া এল জি ই ডি এর আওতাভূক্ত প্রায় ৩০.৮৭ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তা এবং প্রায় ২৪৬ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা রয়েছে । উপজেলার ০৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ০১টি ব্যতীত ০৫টিতে সারা বছর জীপযোগে যাতায়াত করা যায় । এ উপজেলায় খাসিয়া ও পাত্র উপজাতির বসবাস রয়েছে ।মোট উপজাতি পরিবারের সংখ্যা ৩১৫ টি, উপজাতি লোকসংখ্যা ২২৬২ জন । এরা প্রধানত এ উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের খাসিয়াহাটি ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মোকামপুঞ্জিতে বসবাস করে । এ উপজেলার মধ্য দিয়ে এশিয়া হাইওয়ে’র অংশ বিশেষ সিলেট-তামাবিল সড়ক গিয়েছে। যা ভারতের মেঘালয়ের রাজ্যের সাথে সংযুক্ত। তামাবিল যদিও গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ন্তগত তথাপি এটি জৈন্তাপুর উপজেলার অতি নিকটবর্তী এবং জৈন্তাপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তামাবিল ইমিগ্রেশন পয়েন্ট বিদ্যমান থাকায় প্রতিদিন বহুলোক/পর্যটক আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এবং ভারত হতে আমাদের দেশে যাওয়া আসা করে থাকেন এবং এর কারনে উল্লেখযোগ্য পরিমান ব্যবসা/বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটন শিল্প বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

জৈন্তাপুর উপজেলায় বর্তমানে বেসরকারি উদ্দ্যোগে ৭টি চাবাগান সৃজন করা হয়েছে। সেগুলি হলো- বাগানের নাম- খান চা বাগান, লালাখাল চা বাগান, হাবিবনগর চা বাগান, আফিফা নগর চা বাগান, আফিফা নগর (গঙ্গাজুম) চা বাগান, শ্রীপুর চা বাগান, লালাখাল (বাগছড়া) চা বাগান। আবহাওয়া অনূকূল এবং ভূত্বাত্তিক সুবিধার কারনে এ উপজেলায় চা শিল্প বিকাশের উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে।

এদেশে সর্বপ্রথম যে গ্যাস ক্ষেত্র হতে প্রথম গ্যাস উত্তোলন ও বিতরণ শুরু হয়েছিল সেটি হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্র। যা এই উপজেলায় অবস্থিত। এ পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্রে ৭টি কূপ খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ ও ৭ নং কূপ হতে প্রতিদিন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ভিত্তিতে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। ৭নং কূপের ক্রড অয়েল আবিষ্কার হওয়ার পর এটি থেকে ইতিমধ্যে উত্তোলন শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৬নং কূপ হতে ৫.৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা। অর্থ্যাৎ বৎসরে প্রায় ১৬.৫ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। তাছাড়া বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে এল,এম,এস উৎপাদিত হয় যা বিমানের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এরপুরোটাই বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ক্রয় করে থাকে। এছাড়া দৈনিক ১০০০ লিটার এম,এস ওয়েলও উৎপাদিত হয়। ফলত জৈন্তাপুর উপজেলা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একসুদূর প্রসারী অবদান রেখে আসছে।
***__________________________________________***
sayed