গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত
ঐতিহ্যবাহী টুঙ্গীপাড়া উপজেলা ও পৌরসভার
সদরে কলেজটি অবস্থিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ থেকে ১.৫০
কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মধুমতি নদী থেকে ৫০
কিলোমিটার উত্তরে কলেজের অবস্থান।
কলেজে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৪৭৯ জন।
শিক্ষক, শিক্সকা কর্মচারীর জন্য ৬৬ জন উচ্চ
মাধ্যমিক শ্রেণীতে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও
বিজ্ঞান শাখা এবং এইচ.এস.সি (বি.এম) শাখা রয়েছে।
স্নাতক শ্রেণিতে কলা, বিবিএস ও বিজ্ঞান অনুষদ
রয়েছে। ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক শ্রেণীতে সম্মান
(অনার্স) কোর্স রয়েছে। বাংলা, অর্থনীতি,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব
বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে¯ স্নাতক শ্রেণিতে সম্মান
(অনার্স) কোর্স খোলার পরিকল্পনা চলছে।
গেনেরাল ঈনফর্মাতিয়ন
বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ বুজিবুর রহমানের নামে নামাংকিত সরকারি শেখ
মুজিবুর রহমান কলেজ। ১৯৮৬ সালের ১৩ ই
সেপ্টম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। টুঙ্গীপাড়ার বিশিষ্ট
শিক্ষানুরাগীা ও শিক্ষাবীদ মরহুম শেখ মোহাম্মাদ
মুছা ও তদীয় পুত্র সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী জনাব শেখ
শহীদুল ইসলাম কলেজের প্রধান উদ্যোক্তা।
কলেজটি প্রতিষ্ঠায় এলাকায় সর্বস্তরের জনগণ
এগিয়ে আসেন। ১৯৮৬ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বর
জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১টি সাধারণ
সভায় অত্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব
মোঃ নুরুন্নবী মোল্লাকে কলেজ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব
প্রদান করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী(তৎকালীন জাতীয় সংসদের
বিরোধীদলীয় নেন্ত্রী) বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন
প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে আলহাজ্ব
মোঃ নুরুন্নবী মোল্যা কলেজের কার্যক্রম শুরু করেন।
এলাকার সর্বস্তরের লোকের এবং প্রসাশনের
সহযোগিতা নিয়ে স্বল্প
সময়ে তিনি কলেজকে একটি সম্মানজনক
পর্যায়ে নিয়ে আসেন। কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক
হলেন মরহুম মোহাম্মাদ মুছা। তার মৃত্যুর পর
থেকে অদ্যাবধি কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক
গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান
মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনা। কলেজের সকল পরীক্ষার ফলাফল বরাবর
সন্তোষজনক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই
কলেজটি জাতীয়করণ হয়। অত্র
কলেজটি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় এলাকার ছাত্র --
ছাত্রীদের
উচ্চ ও উন্নত শিক্ষার পথ সুগম হয়েছে।