Govt. Ashek Mahmud College & University 3.31

5 star(s) from 3 votes
Jamalpur
Jamalpur, 2000
Bangladesh

About Govt. Ashek Mahmud College & University

Govt. Ashek Mahmud College & University Govt. Ashek Mahmud College & University is a well known place listed as Education in Jamalpur ,

Contact Details & Working Hours

Details

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ পরিচিতি
=========================================

১৯৪৬ সাল। জামালপুর জেলার ইতিহাসে একটি গৌরবময় সময়। ঐ বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর কলেজ নামে যাত্রা শুরু করে। ঐতিহাসিক এ পথচলার পেছনের ইতিহাস আরও পুরনো। ১৮৪৫ সালে জামালপুরে মহকুমা স্থাপনের পর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে জামালপুরের তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আর সি দত্ত ও কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জামালপুর শহর অঞ্চলে একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে ১৯৪০ সালে করোনেশন রিডিং ক্লাবে এক সভায় কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন করে। এছাড়াও অপর এক সভায় প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে ২০০ টাকা করে চাঁদা ধরা হয়। শুধু তাই নয়, এতদঞ্চলে সাধারণ জনগণও কলেজ স্থাপনে এগিয়ে আসেন এবং সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেন। ফলে কলেজ স্থাপনের প্রাথমিক তহবিল নিশ্চিত হয়। ১৯৪১ সালের ১০ই জুন প্রভিশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সরকারি ইটখোলা (কৈ এর বিল) নামক স্থানে কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ইটখোলা কলেজকে দান করার জন্য সরকারের নিকট দরখাস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে কলেজ স্থাপনের কাজ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। ১৯৪৪ সালের ৮ই ডিসেম্বর কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত সভায় কলেজের এফিলিয়েশন প্রাপ্তির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দরখাস্ত প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়। ২৯/০৬/১৯৪৫ তারিখে ৩৮১৩/- টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাদানের পর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সরকারি ইটখোলার একত্রিশ একর জমি জামালপুর কলেজ দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা পায়। তৎকালে জামালপুরে যে পাবলিক মেলা অনুষ্ঠিত হত সেখান থেকেও কলেজের জন্য ২০,০০০/- টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয় এবং জেলা কমিটির দানের টাকা নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়।

তৎকালীন জামালপুর মহকুমা এসডিও জনাব মোহাম্মদ পানাউল্লাহ আহাম্মদের প্রচেষ্টায় মাদারগঞ্জের দানবীর আলহাজ্ব আশেক মাহমুদ তালুকদার জামালপুরে কলেজ স্থাপনের জন্য ৪০,০০০/- টাকা দান করেন। এ কারণে ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে জামালপুর কলেজকে আশেক মাহমুদ কলেজ নামকরণ করা হয়। এ সময় আরও কিছু ব্যক্তির নিকট থেকে কলেজের জন্য কয়েক একর জমি অনুদান পাওয়া যায়। এর ফলে আয়তনের দিক দেশের বৃহৎ কলেজগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম কলেজে পরিণত হয়। ১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ১৬০জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ জনাব আজিম উদ্দিন (এম.এ. ডাবল) এর নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি ও কলেজের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় সরকার ১৯৭৯ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করে। জনাব মো: আলী আজম বি.কম.( অনার্স )এম.কম. এ সময় অধ্যক্ষ ছিলেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আশরাফ উদ্দিন এর সময় (১৯৯২ সালে) বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রথম অনার্স কোস চালু করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ১৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। পূর্বে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চারটি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু ছিল। প্রফেসর মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর তাঁর এবং তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষক ও জামালপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ঐকান্তিক চেষ্টায় ২০১৫ সালে আরও ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বর্তমানে ১১টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদান করার পর থেকেই শিক্ষার মানোন্নয়নে চলছে নিরন্তর চেষ্টা। সাধারণ একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা, আইসিটি ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ও আবৃত্তি ক্লাব চালু করা হয়েছে। শিক্ষাকার্যক্রমের উন্নয়নের পাশাপাশি কলেজচত্বর, অফিস, একাডেমিক ভবন সর্বত্র পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের ছোঁয়ায় আশেক মাহমুদ কলেজ হয়ে উঠেছে জামালপুর জেলার জ্ঞানাহরণ ও সৌন্দর্য অবলোকনের এক তীর্থভূমি।

Principal’s Message
======================================

শিক্ষা মানুষের সেই সক্ষমতা যা মানুষকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলবার যোগ্য করে তোলে।মানবিক সদগুণের উদ্ভাসন সেই শিক্ষাকে করে তোলে অর্থবহ। কিশোর তরুণের অন্তর্গত সুপ্ত মৌল প্রতিভাকে বিকাশের সুযোগ করে দিতে বৃহত্তর পরিসরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিষম অনুপাত শিক্ষার্থীর প্রকৃত বিকাশের পক্ষে খুব সহায়ক না হলেও শিক্ষকের আন্তরিক প্রয়াস তাকে অনেকাংশেই সম্ভবপর করে তুলতে পারে।

আমরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজকে তেমনই এক আদর্শস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানরূপে দেখতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থী তার শিক্ষককে পাবে নবীন জীবনে বহুদূর যাবার পথে দিশারী হিসেবে- দার্শনিক বন্ধুর মতো, পথপ্রদর্শক গাইডের মতো।শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে দেশের অপরাপর প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে ঈর্ষণীয়।একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক নানা কার্যক্রমের আয়োজন শিক্ষার্থীর সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ। তাই, নিয়মিত আয়োজন চলছে খেলাধুলার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রবাহের অবারিত সুযোগকে গ্রহণ ও কাজে লাগাবার জন্যে গড়ে তোলা হয়েছে আইসিটি ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, সংস্কৃতি সংগঠন, বিতর্ক ও আবৃত্তি ক্লাব।গড়ে তোলা হচ্ছে ফটোগ্রাফি ও টুরিজম ক্লাব।মোদ্দাকথা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথপ্রচেষ্টার স্বাক্ষর হিসেবে এই কলেজের একজন শিক্ষার্থী সমাজের প্রত্যাশা পূরণের উপযোগী হয়ে গড়ে উঠবে-এটিই আমাদের স্বপ্ন।স্বপ্নপূরণের পথে আমরা অক্লান্ত অভিযাত্রী। সকলের জন্যে আমাদের অনিঃশেষ শুভ কামনা।