ফিরোজ মিয়া কলেজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ।১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ৪়২৪৫ একর ভূমির উপর স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দানবীর আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়ার বদান্যতায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস পাঠ একজন শিক্ষার্থীকে তার শেকড়ের সন্ধান দেয়। শেকড়বিহীন কোন শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হতে পারে না।পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার ভিতই মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেককে শাণিত করে। জ্ঞান অর্জনই শিক্ষার মূল লক্ষ্য । জ্ঞানের পরিপূর্ণতা অর্জন এবং জ্ঞানের ভিতকে দৃঢ় করতে হলে ইতিহাস পাঠ জরুরী।একজন শিক্ষার্থী সত্যিকার অর্থে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক তখনই হতে পারে যখন সে তার নিজ দেশ, জাতির ইতিহাস ও অতীত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।আবার বহির্বিশ্বের ইতিহাস অধ্যয়ন তার চিন্তাধারাকে প্রসারিত করতে যেমন সাহায্য করে,তেমনি বৈশ্বিক প্ররিপ্রেক্ষিতে তার অবস্থানকেও সুসংহত করে।ফিরোজ মিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগ এ লক্ষ্য নিয়ে ই এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৯৭- ১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে কলেজের ডিগ্রি ( পাস) কোর্সে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সর্বপ্রথম ইতিহাস বিষয়টি খোলা হয় । ২০০৩- ২০০৪ শিক্ষাবর্ষ হতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাস বিষয়টি চালু হয়। কলেজে ২০১০- ২০১১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম অনার্স কোর্সে চালুকৃত ০২টি বিভাগের মধ্যে ইতিহাস বিভাগ একটি । শুরুতে ০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ইতিহাস বিভাগের যাএা শুরু হলে ও চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্সে বর্তমানে এ বিভাগে বর্ষওয়ারী ৫০ করে শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এ বিভাগে বর্তমানে ০৬ জন শিক্ষক, ০১ জন সেমিনার সহকারী, ০১ জন পিয়ন রয়েছেন। বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিভাগীয় সেমিনারে দেশী- বিদেশী লেখকদের রয়েছে ২৫০০টি পুস্তক।রয়েছে দৈনিক ও সাপ্তাহিক পএিকা পাঠের সুযোগ।