ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি বাসস্ট্যান্ডের নাম বগারবাজার।
বগারবাজার থেকে ৪ কিলোমিটার এর রাস্তা, রাস্তার নাম গুপ্তবিন্দাবন।
তারপর চোখে পড়বে তিনতলা একটা মসজিদ। একটা গ্রামের শুরু এখান থেকে; ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার আদর্শ গ্রাম ধলিয়া।
একটি স্বয়ংসম্পূর্ন গ্রাম।
গ্রামের নাম ধলিয়া হওয়ার কারনটা মিশে আছে এই এলাকার মাটির রং এর সাথে। পাশের গ্রামের নাম রান্দিয়া, রান্দিয়া-ধলিয়া মিলে একটি মৌজা। রাঙা-ধলা, রান্দিয়ার মাট রাঙা (লাল), ধলিয়ার মাটি ধলা(সাদা), ধলা মাটির এলাকা বলেই গ্রামের নাম ধলিয়া।
বাংলাদেশের গ্রামগুলোর মাঝে এই গ্রামটি সবচেয়ে আলাদা, আদর্শ একটি গ্রাম।
এলাকার মানুষের শিক্ষানুরাগী মনোভাবের আপনি বোঝতে পারবেন যখন দেখবেন পূর্ব পুরুষেরা শিক্ষা গ্রহনের জন্যে এলাকাটিকে কিভাবে গড়ে তুলেছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ধলিয়া বহুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ধলিয়া আজিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধলিয়া গুলেনূর দাখিল মাদ্রাসা, বাদেপুরুড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, পাড়ায় পাডায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি স্কুল।
শিক্ষার এই পরিবেশ এই এলাকার মানুষের মনে গড়ে তুলেছে শিক্ষার প্রতি আরো গভীর অনুরাগ।
প্রয়াত একুশে প্রদক প্রাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যাংকার মুজিবুর রহমান খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান সহ আরো অনেক বিশিষ্টজন এই এলাকার সন্তান।
এখানে আছে একটা হাসপাতাল, একটি চক্ষু হাসপাতাল।
ধলিয়া গ্রামটিকে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে এই এলাকার প্রয়াত পুরুষেরা আর তাদের প্রজন্ম।
গ্রামটিকে দেখলে যে কেউই অবাক হবেন, অবাক হবেন দেখে গ্রামের মানুষের সুগঠিত মানসিকতা। এর পেছনে সবচেয়ে বড় যে বিষয় ক্সজ করে তা হচ্ছে শিক্ষা।
শিক্ষা একটি সমাজকে কি করে বদলে দিতে পারে তার মডেল আমাদের ধলিয়া।