কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও ধূমপানমুক্ত। শিক্ষার্থীদের সহায়ক এবং মান উন্নয়নের জন্য নিয়মিত তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং সহ- পাঠ্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস সম্পন্ন করার জন্য সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, নিয়মিত টিউটোরিয়াল পরীক্ষা এবং সিলেবাস আয়ত্ব করার লক্ষ্যে ও এইচ.এস.সি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক সিমেস্টারের পাঠ মূল্যায়নের জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের সুন্দর পরিবেশ রক্ষা ও জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ সহযোগিতা, কলেজ প্রশাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শিক্ষকমণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম, অভিভাবকবৃন্দের আন্তরিক উৎসাহ এবং সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের কঠোর অনুশীলন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ কলেজ সারাদেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রতিবছরই এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য এবং উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এ কলেজের শিক্ষার্থীদের স্থান করে নেওয়ার বিষয়টি সকলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটির পথচলা শুরু হলেও বাস্তব চাহিদার মুখোমুখি হয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী সংখ্যা বর্তমানে নয় শতাধিক (প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে)। ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে কলেজে দ্বিতীয় শিফ্ট চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ১নং গেইট সংলগ্ন এক সুন্দর মনোরম পরিবেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি অবস্থিত। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৮৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি সর্বপরিচিত হয়ে উঠেছে তার স্বক্রীয় বৈশিষ্ট্যাবলীর কারণে। জাতির আদর্শ, দক্ষ, সৎ ও আধুনিক নাগরিক হিসেবে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে কলেজটি সোপান হিসেবে আন্তরিকতা নিয়ে নিরলস কাজ করছে। অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে কলেজটির পথচলা শুরু হলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ঢাকা বোর্ডের সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে এক হাজার শিক্ষার্থী কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং প্রায় পাঁচ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে উচ্চপদে কর্মরত আছেন। প্রতি বছরই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। নানা গুণী ব্যক্তির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই প্রতিষ্ঠানে সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতি চর্চায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও এগিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক, শিক্ষকদের অভিভাবকের ভূমিকার পাশাপাশি বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যবসায় কলেজটির ধারাবাহিক সাফল্য অব্যাহত রেখেছে। সম্ভাবনা ও সাফল্যে আরও উৎকর্ষমন্ডিত হয়ে উঠুক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, এই প্রত্যাশা কলেজ সংশ্লিষ্ট সকলেরই ।