শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফ -Official 4.99

4.7 star(s) from 112 votes
আবু জাফর মো: ছালেহ।
Swarupkati,
Bangladesh

About শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফ -Official

শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফ -Official শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফ -Official is a well known place listed as Church/religious Organization in Swarupkati , Religious Organization in Swarupkati ,

Contact Details & Working Hours

Details

এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিগন্তে ভারত মহাসাগরের উত্তর প্রান্তে Bay of Bengal (বঙ্গোপোসাগর) অবস্থিত। তারই উত্তর কোল ঘেষে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যা সম্বলিত শতকরা প্রায় নব্বই ভাগ মুসলমান অধ্যুসিত ক্ষুদ্র স্বাধীন দেশটির নাম বাংলাদেশ। এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই দেশটির জনসংখ্যা চৌদ্দ কোটির উর্ধ্বে। এই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি জেলার নাম পিরোজপুর যা সাবেক বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি মহাকুমা ছিল। বর্তমান পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত নেছারাবাদ উপজেলা সদরে অবস্থিত একটি গ্রাম- নাম তার ছারছীনা। অজপাড়া গাঁয়ে অবস্থিত অনুন্নত, অবহেলিত ছারছীনা আজ একটি পরিচিত নাম, একটি ইতিহাস, আধ্যাত্মিক জগতের পুণ্যভূমি। বাংলার আল আজহারকে বুকে ধারণ করে সগৌরবে অবস্থান করছে।

সমুদ্র তীরবর্তী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে আগমন ঘটেছে বনিক মুসলিম প্রচারকদের। আর মুসলিম শাসনের পথ বেয়ে আগমন করেছেন আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী অনেক আউলিয়ায়েকেরাম। তাঁদের পরশ ছোঁয়ায় ও আধ্যাত্মিক শক্তির কাছে নতি স্বীকার করে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করার ফলে দেশটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পরিণত হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৭৫৭ইং সনে পলাশী প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ায় দেশটি ইংরেজ বেনিয়াদের দখলে চলে যায়। যার ফলে বিধর্মীদের জাগরণ ও মুসলমানদের নিগৃহীত হওয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা হয়ে যায়।

ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ ভাগ। বাংলার মুসলমানদের করুণ অবস্থা। মুসলমানদের জাতীয় অনুভূতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ নিভু নিভু অবস্থায় বিলীন হওয়ার পথে। সারা বাংলা বিশেষ করে এর দক্ষিণাঞ্চল ছিল অজ্ঞানতার তিমিরে আচ্ছন্ন। ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে নিজস্ব তাহজীব-তামদ্দুন ছেড়ে দিয়ে মুসলমানরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল বিজাতীয় আচার-ব্যবহার, চাল-চলন ও পোশাক-পরিচ্ছদে। নামের আগে শ্রী ব্যবহার করা, লুঙ্গীর বদলে ধুতি পরিধান করা, টুপির বদলে মাথায় টিকি রাখা, মেয়েদের সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করা, কপালে লাল টিপ লাগানো, পূজাপার্বণে মুসলমানদের অংশগ্রহণ করা, তিথিলগ্ন, দিকশূল পালন এবং দেবদেবীর নামে মানত করার মত বহু ইসলাম গর্হিত কাজসহ শিরক ও বিদয়াত বাংলার ঘরে ঘরে সে সময় সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছিল। মুসলিম জাতীয় জীবনে নেমে এসেছিল ধর্মীয় চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের এক চরম বিপর্যয়। এমনি এক সংকট সন্ধিক্ষণে বাংলার এক অজানা অচেনা নিভৃত পল্লী ছারছীনাতে বর্ষিত হল আল্লাহর রহমতের অমিয়ধারা। দীনের আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে ১৮৭৩ ইং সন মোতাবেক বাংলা ১২৭৯ সালে ধরায় চলে আসলেন এক পুণ্যবান তাপস, যুগশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক, মুজাদ্দিদে জামান কুতুবুল আলম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ)।