কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 3.83

4.8 star(s) from 20 votes
Sylhet, 3100
Bangladesh

About কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় is a well known place listed as Organization in Sylhet ,

Contact Details & Working Hours

Details

কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ই মে ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে এই সাংস্কৃতিক সংগঠনটি। আজ সংগঠনটির জন্মদিন। আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখছে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ। কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের লোগো তে রয়েছে সবুজে মোড়ানো লাল সূর্য, যার রয়েছে ৭টি রশ্মি এবং নিচে নীল প্রবাহ। রংধনুর রং হচ্ছে এ সাতটি রং। পৃথিবী যেমন বৃষ্টিস্নাত হয়ে তার সমস্ত জরাজীর্ণতাকে দূর করে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়, আকাশে দেখায় সাত রঙের আলোকচ্ছটা তেমনি ‘কৃষ্ণচূড়া’ সাংস্কৃতিক সংঘের লোগোটিতে সাত রঙের ব্যবহার প্রকাশ করে নতুন সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান । বৃত্তের ভেতর লাল সবুজ আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতীক। নীল রঙের প্রবাহটি সমুদ্র প্রবাহ নির্দেশ করে, যে প্রবাহ দিয়ে সমাজ থেকে দূর্নীতি ও জরাজীর্ণতাকে ধুয়ে মুছে দূর করার ভাব ব্যক্ত করে। কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ যেমন তার লাল ফুল দিয়ে ধরনীকে আলোকিত ও রূপময় করে তোলে। তেমনি কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ সমাজের জরাজীর্ণ কালিমা দূর করে সমাজকে সুন্দর সাবলীল ও আলোকিত করবে।

যার হাত ধরে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তিনি হলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। তার মতে-‘যারা সাংস্কৃতিকমনা তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার হয়। তাদের মন অনেক ভাল হয়।এই বিশ্বাস থেকে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ তৈরী হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংগঠন করে ছেলে মেয়েরা সারা বাংলাদেশে তথা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পরবে। এবং ভাল কাজ করে প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করবে।’

কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে একমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন যেটি সম্প্রতি জয় বাংলা ইয়থ এওয়ার্ড পেয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্তি সংগঠন কৃষ্ণচূড়া। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় সারে তিনশ। ক্যাম্পাসের সব বাঘা বাঘা শিল্পীরা এই সংগঠনের ভেতরে কাজ করে থাকেন। এ সংগঠনের মাধ্যমেই আজ অনেক শিল্পী শুধু ক্যাম্পাসের নয় সারা বাংলাদেশের স্টার-সুপারস্টার। এখানে অভিনয়, নাচ, গান, আবৃত্তিচর্চা করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বড় বড় জাতীয় দিবসগুলোতে কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছে। ২১শে ফেব্র“য়ারি, ২৬শে মার্চ ও ১৬ই ডিসেম্বর এর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠাগুলো কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ আয়োজন করে থাকে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রৈমাসিক সাহিত্য প্রকাশনা “ধুমকেতু” কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের তত্বাবধানে বের হয়ে আসছে।

ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে কৃষ্ণচূড়ার জনপ্রিয়তা এখন দেশব্যাপী।

OTHER PLACES NEAR কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

Show more »